অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার দেশের ওপর রাশিয়ার ব্যাপক বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর অন্তত এক কোটি মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। তবে এই পরিস্থিতির জন্য আলোচনায় বসতে কিয়েভের অস্বীকৃতিকে দায়ী করেছে মস্কো।
জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার কিয়েভে বলেছেন, “এই মুহূর্তে এক কোটির বেশি মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। আমরা সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি।”
ইউক্রেন বলছে, গত বেশ কয়েকদিন ধরে রাশিয়া সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালাচ্ছে। এর ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে গেছে এবং দেশের সবাইকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গিয়ে কর্তৃপক্ষকে ব্যাপক লোডশেডিং-এর আশ্রয় নিতে হচ্ছে।
এদিকে কিয়েভের আঞ্চলিক প্রশাসন বলেছে, গতকাল ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়ার চারটি ক্ষেপণাস্ত্র ও পাঁচটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
তবে মস্কো গোটা পরিস্থিতির জন্য ইউক্রেন সরকারকে দায়ী করেছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, “সমস্যা সমাধানে ইউক্রেনের অনাগ্রহ, আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি এবং দুই পক্ষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর সমাধানে ইউক্রেনের অসম্মতির কারণে আজ তাদের এই পরিণতি।”
সম্প্রতি যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে কঠিন শর্ত দিয়েছে ইউক্রেন। দেশটি বলছে, দখলীকৃত গোটা এলাকা থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এটি না মানলে শান্তিচুক্তি সম্ভব নয়। তবে রাশিয়ার জন্য এটি মানা সম্ভব নয় বলে মস্কো স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া।
Leave a Reply